দুপুরের পরিত্যক্ত প্রলাপ
১
স্মৃতির হাতে একটা দুটো পাখা
স্মৃতি বলে—‘যাই’
স্মৃতি বলে—‘মরনঝাঁপ যায় কি চেনা
একটা দুটো ফুলকি পেলে
মনের মতো ওড়াই’ ।
২
সেই দুপুর চিলেকোঠায় নেই
সেই দুপুর বুকের মাঝে
বুক ছোঁয়ালে
বুক জ্বলে যায়
বুক জ্বলে যায়
এত আগুন ।
৩
আমি তোমার নাম জানিনা
আমি নেই তোমার জ্বরের কাছে,
মাথার পাশে,
পরিত্যক্ত তবু শুয়ে আছি
আজীবন তোমার পাপোষে ।
৪
জলে ভেসে যায় শুকনো পাতা
জলে ভেসে যায় ২২শে শ্রাবণ
জলে ভেসে যায় “আয় সুখ”
জলে ভেসে যায় “যায় সুখ”
পথ ছাড়ো।
৫
কে জানে কার চোখের ভিতর
কতখানি চোখ—
কে জানে কার শোকের ভিতর
কতখানি শোক,
আমি চোখ মেলে শোকের পাশে
শুয়ে আছি !
৬
ফুটপাথের ন্যাংটো ছেলেদের রাজা ডেকে বলল
কি যে বলল—
ভাবতে ভাবতে মে দিবসের মিছিলের মতো বৃষ্টি এলো
দেখলুম সামনে দাঁড়িয়ে মেহের আলি
চিৎকার করছে—তফাৎ যাও— তফাৎ যাও
৭
দুপুরের রোদে সব পুড়ে যায়
অধর—চোখ—চুমু—
বুক খানি থেকে গেলে
শুধু সে টুকুই মনে হয়—‘ছাইদানি’!
৮
দিদি আসে দিদি যায়
ভাই গুলি তার রোদ
বোন গুলি তার মেঘ
এই রোদে এই মেঘে ভাসতে ভাসতে
কেন জানি মনে হয়
দিন বদলায় ।
৯
কোন দিন মেলায় গিয়ে হারিয়ে গেলে বেশ হত
মনে লেখা হয়ে যেতো শুধু মুখ গুলি—শুধু মুখ গুলি ।
No comments:
Post a Comment